Rocky Rahman's Reviews > গল্পসমগ্র
গল্পসমগ্র
by
by
পাকিস্তানের ছিলো সাদাত হাসান মান্টো, ভারতের ছিলো সত্যজিৎ রায় আর আমাদের ছিলো একজন জহির রায়হান। ছোটগল্প কতোটা শক্তিশালী হতে পারে তা এই তিনজন লেখকের গল্প পড়লে বুঝতে পারা যায়।
এই বইটা জহির রায়হানের ২২টি গল্প নিয়ে প্রকাশ করা হয়, প্রথমে ২১টি ছিলো সম্প্রতি ১টি যোগ করা হয়। প্রতিটি গল্প যেনো এক একটি বোমা ছিলো। প্রতিটি গল্প পড়ার পরেই থ মেরে থাকতে হয়, দৃশ্যপটগুলো কল্পনা করতে হয়, ভাবতে হয়, ভাবতে ভাবতে মনটা বিষাদে ভরে যায় নয়তো মনে এক বিদ্রোহী চেতনা জেগে উঠে।
গল্পগুলো কখনো রচিত হয়েছে ভাষা আন্দোলনের পেক্ষাপটে, কখনো মুক্তিযুদ্ধের, কখনো মধ্যবিত্তের সংসার এবং ভালোবাসায়, কুসংস্কারে এবং সমাজের হীন মানসিকতায়।
প্রতিটি গল্প শেষ করার পরে ধ্বাক্কা খেতে হয়, মনে উঁকি দেয় গভীর উপলব্ধি।
.
একদম প্রথম গল্প 'সোনার হরিণ' এ লেখক মধ্যবিত্ত সমাজের যে স্বপ্ন থাকে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এবং সে স্বপ্নের সাথে বাস্তবতার কতোটা ফারাক থাকে তা দেখিয়েছেন।
'সময়ের প্রয়োজন' গল্পটাতে লেখক দেখিয়েছেন মানুষ কেনো যুদ্ধ করে। গল্পটিতে যুদ্ধ চলাকালীন একজন মুক্তিযুদ্ধার খাতাতে পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে লেখা একটা উক্তি পড়ে সত্যিই অনেকক্ষণ বই বন্ধ করে বসে বসে ভাবছিলাম, লাইনটি তুলে ধরছি,
-" একদিন যারা আমাদের অংশ ছিল। একসঙ্গে থেকেছি। শুয়েছি। খেয়েছি। ঘুমিয়েছি। এক টেবিলে বসে গল্প করেছি। প্রয়োজনবোধে ঝগড়া করেছি। ভালোবেসেছি। আজ তাদের দেখলেই শরীরের রক্ত গরম হয়ে যায়। চোখ জ্বালা করে উঠে। হাত নিশপিশ করে। পাগলের মতো গুলি ছুড়ি। মারার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। একজনকে মারতে পারলে উল্লাসে ফেটে পড়ি। ঘৃণার থুতু ছিটোই মৃতদেহের উপর'।
'অপরাধ' এবং 'স্বীকৃতি' গল্পে নারীদের জীবন নিয়ে একদম বিপরীত ধর্মী দুটি গল্প লিখেছেন লেখক।
'ম্যাসাকার' গল্পে লেখক যুদ্ধে একজন ডাক্তারের যুদ্ধ সম্পর্কে উপলব্ধি এবং লুইসা নামক মেয়ের করুণ পরিণতি তুলে ধরেছেন।
.
বইটির প্রতিটি গল্প নিয়ে আমার মতে লেখা দরকার, প্রতিটি গল্পই অসম্ভব রকম ভালো ছিলো। কোনোটা থেকে কোনোটা কম নয়।
আমি সবাইকে বলবো অবশ্যই বইটি পড়ে দেখবেন।
এই বইটা জহির রায়হানের ২২টি গল্প নিয়ে প্রকাশ করা হয়, প্রথমে ২১টি ছিলো সম্প্রতি ১টি যোগ করা হয়। প্রতিটি গল্প যেনো এক একটি বোমা ছিলো। প্রতিটি গল্প পড়ার পরেই থ মেরে থাকতে হয়, দৃশ্যপটগুলো কল্পনা করতে হয়, ভাবতে হয়, ভাবতে ভাবতে মনটা বিষাদে ভরে যায় নয়তো মনে এক বিদ্রোহী চেতনা জেগে উঠে।
গল্পগুলো কখনো রচিত হয়েছে ভাষা আন্দোলনের পেক্ষাপটে, কখনো মুক্তিযুদ্ধের, কখনো মধ্যবিত্তের সংসার এবং ভালোবাসায়, কুসংস্কারে এবং সমাজের হীন মানসিকতায়।
প্রতিটি গল্প শেষ করার পরে ধ্বাক্কা খেতে হয়, মনে উঁকি দেয় গভীর উপলব্ধি।
.
একদম প্রথম গল্প 'সোনার হরিণ' এ লেখক মধ্যবিত্ত সমাজের যে স্বপ্ন থাকে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এবং সে স্বপ্নের সাথে বাস্তবতার কতোটা ফারাক থাকে তা দেখিয়েছেন।
'সময়ের প্রয়োজন' গল্পটাতে লেখক দেখিয়েছেন মানুষ কেনো যুদ্ধ করে। গল্পটিতে যুদ্ধ চলাকালীন একজন মুক্তিযুদ্ধার খাতাতে পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে লেখা একটা উক্তি পড়ে সত্যিই অনেকক্ষণ বই বন্ধ করে বসে বসে ভাবছিলাম, লাইনটি তুলে ধরছি,
-" একদিন যারা আমাদের অংশ ছিল। একসঙ্গে থেকেছি। শুয়েছি। খেয়েছি। ঘুমিয়েছি। এক টেবিলে বসে গল্প করেছি। প্রয়োজনবোধে ঝগড়া করেছি। ভালোবেসেছি। আজ তাদের দেখলেই শরীরের রক্ত গরম হয়ে যায়। চোখ জ্বালা করে উঠে। হাত নিশপিশ করে। পাগলের মতো গুলি ছুড়ি। মারার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। একজনকে মারতে পারলে উল্লাসে ফেটে পড়ি। ঘৃণার থুতু ছিটোই মৃতদেহের উপর'।
'অপরাধ' এবং 'স্বীকৃতি' গল্পে নারীদের জীবন নিয়ে একদম বিপরীত ধর্মী দুটি গল্প লিখেছেন লেখক।
'ম্যাসাকার' গল্পে লেখক যুদ্ধে একজন ডাক্তারের যুদ্ধ সম্পর্কে উপলব্ধি এবং লুইসা নামক মেয়ের করুণ পরিণতি তুলে ধরেছেন।
.
বইটির প্রতিটি গল্প নিয়ে আমার মতে লেখা দরকার, প্রতিটি গল্পই অসম্ভব রকম ভালো ছিলো। কোনোটা থেকে কোনোটা কম নয়।
আমি সবাইকে বলবো অবশ্যই বইটি পড়ে দেখবেন।
Sign into Goodreads to see if any of your friends have read
গল্পসমগ্র.
Sign In »
Reading Progress
Finished Reading
January 9, 2024
– Shelved