Shadin Pranto's Reviews > হাঙর নদী গ্রেনেড
হাঙর নদী গ্রেনেড
by
by
সেলিনা হোসেনকে তুমুল পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক বলা যাবে না। অনেকেই আমরা তার নাম শুনেছি, বইয়ের কথা পড়েছি। কিন্তু তাঁর কোনো লেখা পড়েছে এমন পাঠক হুমায়ূন আহমেদের প্রতিতুলনায় কম। অথচ তিনি খুব ভালো লেখেন।
প্রকৃত গুণী লেখকদের স্বীয় লেখার ধাঁচ থাকে। যা তাঁকে সগোত্রীয় বাকিদের চাইতে ব্যতিক্রমের কাতারে নিয়ে যায়। সেলিনা হোসেন ঠিক এই মাপের কথাসাহিত্যিক। তাঁর গদ্য অন্যরকম মাধুর্যে মাখা। ছোট ছোট বাক্যে তিনি লেখেন। সরলবাক্য সাধারণত তাঁর লেখায় প্রাধান্য পায়। তাই পড়তে আলাদা আনন্দ মেলে।
একাত্তরে যশোরের একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে 'হাঙর নদী গ্রেনেড' লেখা। মুক্তিযুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি বাঙাল��র প্রায় সবাই কম-বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গুটিকয় দালাল বাদে একাত্তরে টিকে থাকা সাড়ে সাত কোটি বাঙালির প্রত্যেকেরই বলার মতো ঘটনা রয়েছে। যশোরের এমন একজন জননীর মহত্তম ত্যাগের ঘটনাকে উপন্যাসের মাধ্যমে অমর করে রেখেছেন সেলিনা হোসেন৷
মুক্তিযোদ্ধার জান বাঁচাতে একজন দুঃখী মা তার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী সন্তান রইসকে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দেন। দরিদ্র মায়ের একমাত্র অবলম্বন সন্তানকে তিনি দেশমাতৃকার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন - এই বিরল ঘটনা সেলিনা হোসেন নিজস্ব শব্দবৈভবের মাধ্যমে এঁকেছেন।
চাষী নজরুল ইসলাম 'হাঙর নদী গ্রেনেড' নির্মাণ করেছেন। নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে একাধিকবার এই ছবি বিটিভিতে দেখেছে। তবু কখনো অমিলন হয়নি। মায়ের সন্তানকে উৎসর্গের দৃশ্য সেলিনা হোসেনের চাইতে অনেকবেশি হৃদয়স্পর্শী ও বাস্তবধর্মী করে দেখাতে পেরেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। কারণ তিনি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
সাহিত্যকর্মনির্ভর চলচ্চিত্র অনেকটাই অসফল হয়। কিন্তু চাষী নজরুল ইসলাম এক্ষেত্রে সেলিনা হোসেনের তুলনায় অধিক সফল হয়েছেন।
প্রকৃত গুণী লেখকদের স্বীয় লেখার ধাঁচ থাকে। যা তাঁকে সগোত্রীয় বাকিদের চাইতে ব্যতিক্রমের কাতারে নিয়ে যায়। সেলিনা হোসেন ঠিক এই মাপের কথাসাহিত্যিক। তাঁর গদ্য অন্যরকম মাধুর্যে মাখা। ছোট ছোট বাক্যে তিনি লেখেন। সরলবাক্য সাধারণত তাঁর লেখায় প্রাধান্য পায়। তাই পড়তে আলাদা আনন্দ মেলে।
একাত্তরে যশোরের একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে 'হাঙর নদী গ্রেনেড' লেখা। মুক্তিযুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি বাঙাল��র প্রায় সবাই কম-বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গুটিকয় দালাল বাদে একাত্তরে টিকে থাকা সাড়ে সাত কোটি বাঙালির প্রত্যেকেরই বলার মতো ঘটনা রয়েছে। যশোরের এমন একজন জননীর মহত্তম ত্যাগের ঘটনাকে উপন্যাসের মাধ্যমে অমর করে রেখেছেন সেলিনা হোসেন৷
মুক্তিযোদ্ধার জান বাঁচাতে একজন দুঃখী মা তার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী সন্তান রইসকে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দেন। দরিদ্র মায়ের একমাত্র অবলম্বন সন্তানকে তিনি দেশমাতৃকার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন - এই বিরল ঘটনা সেলিনা হোসেন নিজস্ব শব্দবৈভবের মাধ্যমে এঁকেছেন।
চাষী নজরুল ইসলাম 'হাঙর নদী গ্রেনেড' নির্মাণ করেছেন। নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে একাধিকবার এই ছবি বিটিভিতে দেখেছে। তবু কখনো অমিলন হয়নি। মায়ের সন্তানকে উৎসর্গের দৃশ্য সেলিনা হোসেনের চাইতে অনেকবেশি হৃদয়স্পর্শী ও বাস্তবধর্মী করে দেখাতে পেরেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। কারণ তিনি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
সাহিত্যকর্মনির্ভর চলচ্চিত্র অনেকটাই অসফল হয়। কিন্তু চাষী নজরুল ইসলাম এক্ষেত্রে সেলিনা হোসেনের তুলনায় অধিক সফল হয়েছেন।
Sign into Goodreads to see if any of your friends have read
হাঙর নদী গ্রেনেড.
Sign In »
Reading Progress
Finished Reading
November 11, 2023
– Shelved