প্রিয়াক্ষী ঘোষ's Reviews > হাঙর নদী গ্রেনেড
হাঙর নদী গ্রেনেড
by
by
প্রকৃতিগত ভাবে মানুষ স্বভাবতই অনেক কিছু লাভ করে থাকে কিন্তু এতো সহজে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা এসব জিনিস পেয়ে থাকি যে এর ঠিক মূল্যটা আমরা দিতে পারি না। যে মানুষগুলো প্রকৃতির এই দান থেকে বঞ্চিত বা সঠিক সময়ের এই দান সঠিক সময়ে পায় না, অনেক সাধনা করে লাভ করে থাকে শুধু মাত্র সেই ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষগুলোই প্রাপ্ত জিনিসের চরম মূল্য দিয়ে থাকে।
হলদী গাঁ এর মেয়ে বুড়ি। বুড়ি নামটা তার পিতৃ প্রদত্ত কিন্তু নামটাতে তার প্রবল আপত্তি থাকলেও হাজার চেষ্টা করে ও সে বুড়ি নামটা পাল্টাতে পারেনি। শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে বুড়ি নামটাই মেনে নেয়।
নিজের গ্রাম ছেড়ে বুড়ির অন্য কোথাও যাবার সু���োগ না হলেও নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে তার অনেক পছন্দ। অচেনা জায়গাতে না যেতে পারলও একটা সময় সে নিজেকে শান্তনা দেয় অন্তত বিয়ের পর সে নিশ্চই নতুন একটা গ্রামে যেতে পারবে, কিন্তু সেটাও আর হয় না। চাচাতো ভাইয়ের বউ মারা যাবার ফলে বুড়িকে বিয়ে করে। এতে করে তার ঠাঁই হয় নিজেদের বাড়ীর উত্তরের ঘর থেকে দক্ষিণের ঘরে এবং বৈবাহিক সূত্রে দুটি ছেলে পায় সলীম ও কলীম কে।
যাদের সাথে বিয়ের দিন পর্যন্ত সে অনেক ছোটা ছুটি করেছে এবং তাদের কোলে করে ঘুরে বেড়িয়েছে। অনেক সাধনার পর বিয়ের আট বছর পর বুড়ির কোল জুড়ে আসে একটি ছেলে রইস কিন্তু সে কথা বলতে ও শুনতে পারে না, মুখ দিয়ে সবসময় লালা পড়ে। রইসের জন্মের ১৩ বছরে তার বাবা গফুর মারা যায়।
সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চলতে থাকে কিন্তু সময়টা ছিলো দারুন অসময়। ১৯৭১ সাল, চারিদিকে যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠলেও হলদী গাঁএর যুবকরা ছাড়া এটা কেউ বুঝতে পারে না। বুড়ির বুঝতে একটু বেশীই সময় লাগে কিন্তু যখন বুঝতে পারে যুদ্ধ আসলে কি তখন নিজেকে তুচ্ছ মনে হয় দেশের কাজে না লাগতে পারাতে। নিজের প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে নিজেকে তুলনা করতে থাকে। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে নিজের প্রতিবন্ধী ছেলেকে তুলে দেয় পাকিস্তানি সৈনদের হাতে। যারা মায়ের চোখের সামনে ছেলেকে গুলি করে চলে যায়।
অল্পকিছু মানুষ বাদে, প্রতিটি মানুষের মাঝে দেশের প্রতি ভালোবাসাটা থাকে। সে ভালোবাসাটা সব সময় প্রকাশ পায় না বা বোঝা যায় না। সংকট কালে বা প্রযোজনের সময়েই শুধু তা প্রকাশ পায়। আর তার জন্য প্রিয় কিছু বিসর্জন দিতে দ্বিধা করেনা।
আমাদের এই দেশটা এখন হয়তো স্বাধীন কিন্তু কত মানুষের প্রিয় মানুষগুলোর প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি। দান জিনিসটা এতোটা সহজ কিছু ব্যপার নয়। মুখে দান করতে চাইলে বুকে বাধে। কিন্তু সেই অসময়ে দেশের সংকট কালে মানুষ কত ধৈর্য্য আর সাহস দেখিয়ে নিজেদের প্রিয় মানুষ গুলোকে অকাতরে দান করে দিয়েছে দেশের জন্য। যাদের রক্তে ভিজে গেছে মাতৃভূমির মাটি। কিন্তু আমরা তার মূল্য দিতে পারি নাই পারবোনা ��য়তো কখনো।
হলদী গাঁ এর মেয়ে বুড়ি। বুড়ি নামটা তার পিতৃ প্রদত্ত কিন্তু নামটাতে তার প্রবল আপত্তি থাকলেও হাজার চেষ্টা করে ও সে বুড়ি নামটা পাল্টাতে পারেনি। শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে বুড়ি নামটাই মেনে নেয়।
নিজের গ্রাম ছেড়ে বুড়ির অন্য কোথাও যাবার সু���োগ না হলেও নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে তার অনেক পছন্দ। অচেনা জায়গাতে না যেতে পারলও একটা সময় সে নিজেকে শান্তনা দেয় অন্তত বিয়ের পর সে নিশ্চই নতুন একটা গ্রামে যেতে পারবে, কিন্তু সেটাও আর হয় না। চাচাতো ভাইয়ের বউ মারা যাবার ফলে বুড়িকে বিয়ে করে। এতে করে তার ঠাঁই হয় নিজেদের বাড়ীর উত্তরের ঘর থেকে দক্ষিণের ঘরে এবং বৈবাহিক সূত্রে দুটি ছেলে পায় সলীম ও কলীম কে।
যাদের সাথে বিয়ের দিন পর্যন্ত সে অনেক ছোটা ছুটি করেছে এবং তাদের কোলে করে ঘুরে বেড়িয়েছে। অনেক সাধনার পর বিয়ের আট বছর পর বুড়ির কোল জুড়ে আসে একটি ছেলে রইস কিন্তু সে কথা বলতে ও শুনতে পারে না, মুখ দিয়ে সবসময় লালা পড়ে। রইসের জন্মের ১৩ বছরে তার বাবা গফুর মারা যায়।
সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চলতে থাকে কিন্তু সময়টা ছিলো দারুন অসময়। ১৯৭১ সাল, চারিদিকে যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠলেও হলদী গাঁএর যুবকরা ছাড়া এটা কেউ বুঝতে পারে না। বুড়ির বুঝতে একটু বেশীই সময় লাগে কিন্তু যখন বুঝতে পারে যুদ্ধ আসলে কি তখন নিজেকে তুচ্ছ মনে হয় দেশের কাজে না লাগতে পারাতে। নিজের প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে নিজেকে তুলনা করতে থাকে। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে নিজের প্রতিবন্ধী ছেলেকে তুলে দেয় পাকিস্তানি সৈনদের হাতে। যারা মায়ের চোখের সামনে ছেলেকে গুলি করে চলে যায়।
অল্পকিছু মানুষ বাদে, প্রতিটি মানুষের মাঝে দেশের প্রতি ভালোবাসাটা থাকে। সে ভালোবাসাটা সব সময় প্রকাশ পায় না বা বোঝা যায় না। সংকট কালে বা প্রযোজনের সময়েই শুধু তা প্রকাশ পায়। আর তার জন্য প্রিয় কিছু বিসর্জন দিতে দ্বিধা করেনা।
আমাদের এই দেশটা এখন হয়তো স্বাধীন কিন্তু কত মানুষের প্রিয় মানুষগুলোর প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি। দান জিনিসটা এতোটা সহজ কিছু ব্যপার নয়। মুখে দান করতে চাইলে বুকে বাধে। কিন্তু সেই অসময়ে দেশের সংকট কালে মানুষ কত ধৈর্য্য আর সাহস দেখিয়ে নিজেদের প্রিয় মানুষ গুলোকে অকাতরে দান করে দিয়েছে দেশের জন্য। যাদের রক্তে ভিজে গেছে মাতৃভূমির মাটি। কিন্তু আমরা তার মূল্য দিতে পারি নাই পারবোনা ��য়তো কখনো।
Sign into Goodreads to see if any of your friends have read
হাঙর নদী গ্রেনেড.
Sign In »
Reading Progress
Finished Reading
April 3, 2023
– Shelved